জি এম গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, হালুয়াঘাট,
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় মেয়ের জামাইয়ের দা’য়ের আঘাতে শাশুড়ি জোছনা রানী শীল (৬০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে ইতি শীল গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ভোর ৪টায় উপজেলার ৩নং কৈচাপুর ইউনিয়নের কড়ইকান্দা গ্রামে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জামাই সুজিত শীল (৩০) নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পড়ে আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত শাশুড়ি জোছনা রানী শীল (৬০) ওই গ্রামের মৃত অমূল্য শীলের স্ত্রী। সুজিত শীল পার্শ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলার চরনিয়ামত গ্রামের অবলেশ শীল এর পুত্র।
স্থানীয়রা জানায়, সুজিত শীল গত ৮ মাস যাবত শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে অবস্থান করছিলো। সে বিভিন্ন সময় নেশা করে বাড়িতে এসে স্ত্রী ও শাশুড়ির সাথে ঝগড়া করতো। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়িতে এসে স্ত্রী ও শাশুড়ির সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পড়ে সে নিজেই নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পড়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জোছনা রানী শীলকে মৃত ঘোষণা করেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, এ বিষয়ে নিহতের মেয়ে সন্ধ্যা রানী বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরই আমরা সুজিত শীল’কে আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসি। বর্তমানে সে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।