্মাহমুদুল হাসান যশোর জেলা প্রতিনিধি
গ্রেফতার ও উদ্ধার অভিযানঃ
সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনষ্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ায় মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় সৎ, যোগ্য প্রার্থীদের শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত থেকে নিয়োগ প্রদানের নিমিত্তে যশোর জেলার পুলিশ সুপার মহোদয় গোপন তথ্য সংগ্রহ পূর্বক দালাল ও প্রতারক চক্রকে সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন।
এমনই এক ভুক্তভোগী অভিযোগদাতা খুলনা জেলার ফুলতলা থানার বাড্ডাগাতী সাকিনের কোহিনুর বেগম এসে যশোর জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম(বার), পিপিএম এঁর অফিস কার্যালয়ে অভিযোগ দিলে প্রাথমিক গোপন অনুসন্ধানে সত্যতা পেয়ে কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তেরভার অর্পন করলে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব রুপন কুমার সরকার, পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিটন কুমার মন্ডল, এসআই সোলাইমান আক্কাস, এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএমদের সমন্বয়ে একটি চৌকশ টিম অদ্য রাত ২২:৩০ থেকে ভোর পর্যন্ত অভয়নগর ও খুলনা ফুলতলা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক/দালাল চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই সময় তাদের হেফাজত হইতে একাধিক চাকুরী প্রত্যাশী প্রার্থীদের আবেদন ফরম, টাকা আদায়ের নোট বুক, মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে তার ফেসবুক আইডি ম্যাসেঞ্জারে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনষ্টেবল পদে নিয়োগে প্রতারণা পূর্বক প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবেদন পত্র ও অর্থ গ্রহনের তথ্য প্রমান পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ঠিকানাঃ
(১) মোঃ নাজমুস সাকিব (৩২), পিতা- আব্দুল আজিজ শেখ, সাং-কোটা, থানা-অভয়নগর, জেলা-যশোর।
(২) ওহিদুল ইসলাম খান (৪০), পিতা- ফজলু রহমান খান, সাং-জামিরা, থানা-ফুলতলা, জেলা-খুলনা।
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
(১) ০১ টি মোবাইল,
(২) ০২টি নোট বুক,
(৩) চাকুরীর অন-লাইন আবেদন ফরম।