ক্রাইম রিপোর্টার
সদ্য অনুষ্ঠিত গত বিশ সেপ্টেম্বর মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা ও শান্তপূর্ন পরিবেশ নষ্ট করা মুল নায়ক পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বাস্তবায়নের মুল নাটের গুরু কুতুব জুমের বাদশা মেম্বার এর ছেলে রহি বলে প্রত্যক্ষদর্শী গুলিবিদ্ধ কাজলের বক্তব্যে জানা যায়। মুলত বাদশা মেম্বার এর গোটা পরিবার সরকার বিরোধী মাননীয় সরকারের উন্নয়নের প্রতিকের ঘোর বিরোধী বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। ইতোপূর্বে ও বেশ কয়েকবার নৌকার মনোনীত প্রার্থীর মিছিল মিটিং মাইকিং বাধা প্রধান সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড এ নৌকা প্রার্থীর অফিস ভাংচুর অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসী রহিম বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাদশা মেম্বার এর বড় ছেলে রহিম নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার মত কান্ড ঘটিয়েছে ভোটের দিন। পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র অনুযায়ী উদোড়পিন্ড বুদোড়ঘাড়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। গুলিবিদ্ধ প্রত্যক্ষদর্শিদের সাক্ষাৎ এ মহেশখালী নির্বাচনী সহিংসতার মুল হোতা রহিম এর নেতৃত্বে তারেক এর পরিচালনা একদল সক্রিয় ভাড়াটে সন্ত্রাসী গুলি, কুর,ছুরি লাঠিসোটা ও দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আগে থেকেই কুতুব জোমের ৫ নং ওয়ার্ড এর পাশে উতপেতে ছিল বলে সুত্রে জানা যায়। যথা সময়ে যখন ভোট গ্রহণ শুরু হয় ঠিক তখনই রহিম বাহিনীর রহিম ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়। ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তার কোমরে ছুরি নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোট দিয়ে সাথে সাথে অপর বুথে ঢুকে ৫ নং ওয়ার্ড এর ফুটবল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী ফরিদুল আলম জালালি, ও তার অপর ভাই আমজাদ সহ আর কয়েকজন নৌকা প্রার্থীর পক্ষের ভোটারদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে যখম করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী বারেক। পরবর্তীতে ফুটবল প্রতীকের মেম্বার এর সমর্থকরা সন্ত্রাসী রহিমকে বেদড়ক মারদর শুরু করলে প্রশাসনের সহায়তায় তান্ডবকারী রহিম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানা যায়। পরবর্তীতে যখন চারদিকে হইচই পড়ে যায় যে, সন্ত্রাসী রহিমের ছুরিকাঘাতে আহত আমজাদ মারা গেছে ঠিক তখন রহিম আরেক ভাই সন্ত্রাসী তারেক তার বাহিনী নিয়ে গুলাগুলি শুরু করে এ সময় তারা অপরাধ আড়াল করার জন্য তালামের ভাই কালামের উপর গুলি করে গুলিবিদ্ধ কালামকে সন্ত্রাসী রহিম ও তারেক ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।যাতে করে নির্বাচন বানচাল করে টাকার জোর কাটিয়ে প্রশানকে অপব্যবহার করার ব্যর্থ চেষ্টা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শী গুলিবিদ্ধ কাজলের বক্তব্যে স্পষ্ট জানা যায়। গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আহত কালাম মারা গেলেও তার স্ত্রীকে সুপরিকল্পিত ভাবে আড়াল করে ঘুম করে রাখছে বলে স্থানীয় সুত্রে ও গুলিবিদ্ধ কাজলের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী গুলিবিদ্ধ কাজল,বারেক,ও সাইফুল, ও সেলিম,সুত্রে আরও জানা যায় যে, নিহত কালাম তার স্ত্রীকে মরে যাওয়ার সময় তাকে যে সন্ত্রাসী রহিম ও তারেক বাহিনীই মুলত গুলি করেছে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ নুরুল ইসলামের ছেলে সেলিমের বউ কাজলের শরীরে গলার গুলি বের করতে পারেনি বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়। এবং অন্যান্য মারাত্মক ভাবে আহত ফরিদুল আলম জালালি, আমজাদ চট্টগ্রামে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা যায়।কাজলের স্বামী সেলিম ও বারেক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এবং অপর সাইমুন নামে এক ছেলে চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।টাকার জোর কাটিয়ে প্রশাসন কে অপব্যবহার করে ঘটনার মোড় সম্পুর্ন বিপরীত দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা সহ ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বাস্তবায়নের পায়তারা করতেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে রহিমের কাছে জানতে চাইলে কয়েকযুগ ধরে তাদের দুই গ্রুপের দন্দ চলে আসতেছে বলে জানান রহিম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে কালামের স্ত্রী মেয়ে ঘরেই রয়েছে। রহিম বলেন আমি প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে শুনেছি আমি জেনেছি মৌলভী ফরিদের ভাই আমজাদই তারেক কে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে কালামের গায়ে লাগে।
একদম সত্য কথা। বাদশা মেম্বারের ছেলে তারেক ও রহিম মিলে আবুল কালামকে হত্যা করে, নৌকার সমর্থকদের ফাসানোর জন্য।আমরা আইনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আপনারা যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করোন।প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রইল।